শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০২:১০ পূর্বাহ্ন

কোনারপাড়ায় আগাম জাত আমনের বাম্পার ফলন

কোনারপাড়ায় আগাম জাত আমনের বাম্পার ফলন

স্টাফ রিপোটারঃ গাইবান্ধায় সদর উপজেলার দক্ষিন ঘাগোয়ার কোনারপাড়ায় বাড়ী জহুরুল হক সরকারের। পুরাতন বাড়ী ছিল দক্ষিন গিদারী । ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাড়ি থেকে যুদ্ধে অংশগ্রহন করে এ দেশকে স্বাধিনতা এনে দিয়েছিল। গিদারী ইউনিয়নের বসতবাড়ি নদিগর্ভে বিলিন হলে দিশেহারা হয়ে দক্ষিন ঘাগোয়ায় কোনারপাড়ায় ঘর বাধে। ২ ছেলে দুই মেয়ে বর্তমানে থাকলেও ১৯৮০ সালে এক মেয়ে থাকাকালিন সময়ে কোনারপাড়ায় চলে আসে।বর্তমানে ছেলে মেয়েদের বিবাহ ও কর্ম থাকায় কর্মস্থলে থাকে সবাই। জহুরুল হক সরকার তার স্ত্রী আকলিমা বেগমকে নিয়ে কোনারপাড়ায় থাকে। সহধর্মী আকলিমার পরামর্শে দেড় বিঘা জমি বন্ধক নেন। স্ত্রী আকলিমা বন্ধকি জমিতে আমনের আগাম জাতের ধান রোপন করতে বলেন। জহুরুল হক সরকার একটু বিচলিত হলেও স্ত্রী তাকে পরামর্শ দেন বিচোলিতোর কিছু নাই যে লোক যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধিনতা এনে দিতে পারে সে লোক ধানের আবাদ করতে পারবে না এটা কথা হলো। জহুরুল হক সরকার স্ত্রীর পরামর্শকে কাজে লাগিয়ে ভাগিনার কাছ থেকে ধানের বীজ নিয়ে উপসহকারি কৃষিকর্মকর্তার পরামর্শে আগাম জাতের ধান রোপন করেন। রোপনের তিন মাসের মধ্যে ধানের ফলন হওয়ায় নিজেতো খুশি তার মর্ধে এলাকাবাসী তথা গাইবান্ধা জেলায় সারা ফেলেছেন। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানের সাক্ষাতকার নিতে গেলে তিনি বলেন দেশ আমাদের অনেকটাই উন্নতির দিকে অগ্রসর হলেও আমনে আবাদে গাইবান্ধার কৃষক আশানরুপ ফলন আনতে পারে না, সামনের দিনে খাদ্েয আরো নিরাপত্তা দরকার। ২৩ সাল আমাদের তথা সারাবিশ্বে সমস্যা হতে পারে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের জন্য একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। আমার আগাম আমন জাতে ধান বিঘায় ২০ থেকে ২৫ মন হবে আশা করছি। সবাই আগামী দিনে এই জাতের আমন ধান রোপন করলে আমাদের খাদ্যে সমস্যা থাকবে না, আমরা কোন সমস্যায় পড়বো না। এলাকাবাসী জানায় আমনের আবাদে এরকম ফলন আমরা এর আগে দেখিনি। তবে আগাম জাত করলে সবাইকে এক সাথে করতে হবে তাহলে বাবুই পাখি, জল ধারেয়া, পোকামাকড় থেকে ধান রক্ষা করে কাংক্ষিত ফলন ঘরে তোলা সম্ভব হবে।

Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!

নিউজটি শেয়ান করুন

© All Rights Reserved © 2019
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com